ভার্চুয়াল অ্যাসেট ও কারেন্সি লেনদেন থেকে বিরত থাকুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ ভার্চুয়াল অ্যাসেট ও কারেন্সি লেনদেন থেকে বিরত থাকতে দেশে কর্মরত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেইন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এ বিষয় সম্পর্কিত একটি নির্দেশনা আগে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ সার্কুলারটিতে নির্দেশনাগুলো বিশদভাবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্ত ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী- যেমন বিকাশ এবং নগদ ভার্চুয়াল অ্যাসেট ও কারেন্সি বিনিময়, স্থানান্তর বা ট্রেড করা থেকে বিরত থাকবে।"
সার্কুলারে বলা হয়েছে, "ভার্চুয়াল অ্যাসেট বা এর সাবসেট- ভার্চুয়াল কারেন্সির জন্য বাংলাদেশের মধ্যে, বাংলাদেশ থেকে করা বা বাংলাদেশে আসা যেকোনো লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত নয়।"
"বাংলাদেশে কর্মরত সকল ব্যক্তি/ সত্ত্বা/ প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল অ্যাসেট ও ভার্চুয়াল কারেন্সিতে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকবে এবং ভার্চুয়াল অ্যাসেট বা ভার্চুয়াল কারেন্সির বিনিময়/স্থানান্তর/বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনো ধরনের সুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকবে।"
বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়েছে, এই ধরনের অননুমোদিত মুদ্রায় লেনদেন করে দোষী সাব্যস্ত হলে আর্থিক ক্ষতি বা আইনি শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে দোষী ব্যক্তি।
"নির্দেশ অমান্য করে এই ধরনের কোনো লেনদেন ফরেইন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্টের ২৩ (১) ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই ধারায় মামলা করার সুযোগ রয়েছে। শাস্তি হিসেবে দোষীর ৭ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।"
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করা আর্থিক অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের মতামত এবং বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে অনুমোদিত মুদ্রায় লেনদেনের বিধান সহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।