শিল্পাঞ্চলে ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটির উদ্যোগ, কাজে আসছে না আরএমজি খাতের
তৈরি পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মিরপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ভালুকা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত।
এসব এলাকার শিল্প কারখানা অনুমানিক ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে থাকছে বলে এক চিঠিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিষয়টি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানালে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
পরে সোমবার ওই চিঠিতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে সচল রাখতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে অতি জরুরী ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজিম।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে গত ৭ আগস্ট বিদ্যুৎ ভবনে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমই ও বিটিএমইএ'র নেতৃবৃন্দের সাথে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটি প্রদানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঐ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ তাদের পোশাক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কিন্তু তৈরি পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা যেমন- গাজীপুর জেলার চান্দোরা, পূর্ব চান্দোরা, শফিপুর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, গাজীপুর চৌরাস্তা ও গাজীপুর সদর এলাকা এবং আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহের ভালুকায় ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সময়ে আনুমানিক ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিলো না।
রাতের শিফটে যেখানে ডাইং এবং ওয়াশিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তার অবস্থা আরো ভয়াবহ।
অন্যদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে ডিজেল ক্রয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটি করেও তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হলে তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন, বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।