শিগগিরই কমবে ডলারের দাম, আশা ব্যক্ত করলেন অর্থমন্ত্রী

শিগগিরই দেশে মার্কিন ডলারের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মুস্তফা কামাল বলেন, "আগামী দু'-এক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।"
ঋণের সুদ হার বাড়িয়ে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
আজ দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, "এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউরোপে গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.১ শতাংশ যা এপ্রিলে হয়েছে ৭.৪ শতাংশ। জুলাইতে তা আরও বেড়ে ৭.৯ শতাংশ হয়েছে। পুরো ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।"
"বলা যায়, ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ওইসব দেশে থেকে পণ্য কিনে নিয়ে আসার কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে," জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৩ শতাংশ। সেই থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পার করে আসছে সরকার।
"করোনা মহামারি, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের মত সংকট অতিক্রম করতে হচ্ছে। এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। খুব শিগগিরই দেশের অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে," বলেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, "বাংলাদেশের সুদ হার বাড়ানোর সুযোগ নেই। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য শুল্ক বাড়ানো, এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"
হুন্ডি বেড়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসে, সেটা আমরা সবাই চাই। বৈধ পথে অর্থ আসলে সব জায়গায় তার রেকর্ড থাকে, তার জবাবদিহি করা যায়। তবে হুন্ডি আছে। বর্তমানে কত শতাংশ অর্থ হুন্ডিতে আসছে তার পরিসংখ্যান নেই।"
বেশ আগে করা নিজের গবেষণার বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে যত রেমিটেন্স আসে তার ৫১ শতাংশ আসে বৈধপথে আর ৪৯ শতাংশ আসে হুন্ডিতে। এসব রেমিটেন্স বৈধপথে আনা সম্ভব হলে দেশ ও এই অর্থ উপার্জনকারী সকলেই উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ৭৬৪ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার টাকা জড়িত।