Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
MONDAY, AUGUST 15, 2022
MONDAY, AUGUST 15, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
অস্থিতিশীল ডলার, বিদ্যুৎ বিভ্রাট: কৃচ্ছ্রসাধনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান

অর্থনীতি

জসীম উদ্দীন , আব্বাস উদ্দিন নয়ন & মাহফুজ উল্লাহ বাবু
01 August, 2022, 12:00 am
Last modified: 01 August, 2022, 03:03 pm

Related News

  • পণ্যমূল্য নির্ধারণে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন: বাণিজ্যমন্ত্রী 
  • বক্তব্য টুইস্ট করা হয়েছে: ‘বেহেস্তে আছি’ মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ভারতে কমেছে খুচরা মূল্যস্ফীতি, মার্চের পর সর্বনিম্ন
  • তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে: অর্থমন্ত্রী
  • ‘যুদ্ধের জন্য আরও ব্যয় সংকোচ করুন’: ১৯৪৫ সাল এবং এই সময়!

অস্থিতিশীল ডলার, বিদ্যুৎ বিভ্রাট: কৃচ্ছ্রসাধনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার এবং তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। ডলারের অস্থিতিশীল বাজার ও লোডশেডিংয়ের ফলে যে লোকসান দিতে হচ্ছে, তা কীভাবে পোষাবে বুঝতে পারছে না খাতটি।
জসীম উদ্দীন , আব্বাস উদ্দিন নয়ন & মাহফুজ উল্লাহ বাবু
01 August, 2022, 12:00 am
Last modified: 01 August, 2022, 03:03 pm

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার এবং তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। ডলারের অস্থিতিশীল বাজার ও লোডশেডিংয়ের ফলে যে লোকসান দিতে হচ্ছে, তা কীভাবে পোষাবে বুঝতে পারছে না খাতটি।

কোম্পানিগুলোও কাঁচামাল আমদানির জন্য নতুন ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হিমশিম খাচ্ছে।

এছাড়া অস্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে বাড়ছে পরিচালন খরচও। কারণ অনেক ইউনিট চালানো হচ্ছে জেনারেটর দিয়ে। এতে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ খরচ যোগ হচ্ছে।

এই চ্যালেঞ্জ দুটি যোগ হওয়ার আগেই আকাশচুম্বী ফ্রেইট চার্জ, বিঘ্নিত সরবরাহ চেইন ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ক্রমবর্ধমান ইনপুট খরচের জন্য পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ছিল।

ডলারের অস্থিতিশীল বিনিময় হার ও চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য ব্যবসা পরিচালনায় অতিরিক্ত ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের। 

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে যমুনা গ্রুপের মার্কেটিং, সেলস ও অপারেশনের পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর আলম বলেন, 'বর্তমান অনিশ্চয়তার কারণে আমরা হবিগঞ্জ শিল্প পার্ক এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত করেছি, কারণ এখন আমাদের কাঁচামাল আমদানির খরচই ২০-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।'

প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এখন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খরচ কমানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান মোহাম্মদ আলমগীর। এর পরিবর্তে তারা গাড়ি, পরিবহন, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর দিকে মনোযোগ দেবেন।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আমিরুল হক এলসি খোলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। 'আমরা ডলারপ্রতি ৯৪ টাকা রেটে একটা এলসি খুলেছিলাম। দুই সপ্তাহ পর যখন ব্যাংকে কাগজপত্র জমা দিই, সরকার তখন ডলারের দর বেঁধে দিয়েছিল ৯৬ টাকা, কিন্তু আমাদের ১০৬ টাকা দিতে হয়েছিল।'

উৎপাদন খাত কীভাবে অতিরিক্ত খরচ বহন করবে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এই অতিরিক্ত ব্যয় বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আর পণ্যের দাম সমন্বয় করেও এটা করা সম্ভব নয়।'

সরকার যদি এই বাড়তি খরচ মেটাতে সহায়তা না দেয়, তাহলে শিল্পগুলো টিকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডলার সংকটের ধাক্কা

ব্যাংকগুলো এখন এলসি খুলতে চাচ্ছে না।

কিছু বড় বেসরকারি বাণিজ্যিক ঋণদাতা তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতি ব্যতীত আমদানি এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে।

এছাড়া বাজারের রেটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিকভাবে ঠিক করে দেয়া আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারের পার্থক্য অনেক বেশি হওয়ায় বিনিময় হার বেঁধে দেয়ার উদ্যোগটি কার্যকর হয়নি।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট-এর মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক ব্যাংক কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলছে না। তার কারখানাগুলোতে মাত্র ৪০ দিন কাজ চালানোর মতো কাঁচামাল রয়েছে বলে জানান তিনি।

কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, চড়া রেটের ডলার দিয়ে এলসি নিষ্পত্তির কারণে ইস্পাত শিল্পের ব্যয় ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।

শাহরিয়ার বলেন, তারা প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হারে ইস্পাত শিল্পের স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য এলসি খুলেছিলেন, কিন্তু এখন তাদের দিতে হচ্ছে ১০৫-১০৭ টাকা।

অন্যদিকে তাদের গ্রুপের কাঁচামাল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি। 

শাহরিয়ার বলেন, 'কাঁচামালের ঘাটতি নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।'

এই মুহূর্তে বাড়তি খরচ পণ্যের দামের সঙ্গে যোগ করে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এছাড়া ফ্রেইট চার্জ বেড়ে যাওয়াতেও—মহামারিকালে যা ইতিমধ্যে ১২ শতাংশ বেড়েছে—তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

'গত তিন বছরে আমাদের মোট খরচ বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। এটি সমন্বয় করতে এক দশক লেগে যাবে।'

শাহরিয়ার জানান, বুকিং অনুযায়ী ইস্পাতের বিক্রয়মূল্য প্রায় ৮৪ হাজার টাকা, যেখানে উৎপাদন খরচ ১ লাখ টাকার বেশি।

প্রতিটি পয়সা গুরুত্বপূর্ণ

স্টিল, সিমেন্ট, সিরামিক, এফএমসিজে, জ্বালানি ও অন্যান্য খাতে অর্ধশতাধিক কারখানা রয়েছে মেঘনা গ্রুপের। ডলার সংকটে ধাক্কা খেয়েছে এই গ্রুপটিও।

মেঘনা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজের মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার বলেন, প্রয়োজনীয় না হলে ব্যয় কমানো হচ্ছে। তবে কর্মী ছাঁটাই করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

তিনি বলেন, কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার পর ১৫-২০ শতাংশ হারে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে ফ্রেইট চার্জ ও বর্ধিত পরিবহন খরচ যোগ করলে দেখা যাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য বিশ্ববাজারের তুলনায় কম। ফলে দেশের বাজারে লোকসানে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রাণ গ্রুপের এমডি ইলিয়াস মৃধা বলেন, তারা পণ্যের আকার ছোট করে এবং কিছু ক্ষেত্রে দাম বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন।

এছাড়া হবিগঞ্জ শিল্প পার্কেও বিদ্যুতের ঘাটতিতে পড়ছে গ্রুপটি। এর ফলে এর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, বিক্রি খুব একটা কমতে দেখেননি তারা, তবে মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তারা অপেক্ষাকৃত কম দামের পণ্য কিনছেন।

সুপার মার্কেট চেইনগুলোতেও আগের চেয়ে কম লাভ হচ্ছে।

সুপারমার্কেট চেইন মীনা বাজারের সিইও শাহীন খান বলেন, ভ্যালু চেইনজুড়ে ব্যয়ের চাপ ভাগাভাগি করে নিতে ক্রমবর্ধমান খরচের পুরোটা ভোক্তাদের কাঁধে না চাপিয়ে কনজ্যুমার ব্র্যান্ড এখন খুচরা বিক্রেতাদের কম মার্জিন দিচ্ছে।

বিএসআরএমের হেড অভ ফাইন্যান্স শেখর রঞ্জন কর বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পগুলোর টার্নওভার এখনও বেশি হতে পারে, তবে বিক্রির পরিমাণ তত বেশি না-ও থাকতে পারে।

কোম্পানিগুলো উৎপাদন খরচ কমানোর কোনো উপায় বের করতে না পারায় মুনাফা কমে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কাঁচামালের দাম কমতে শুরু করলেও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান শেখর রঞ্জন।

'প্রতিটা পয়সা বাঁচানো এখন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যাংক, সরবরাহকারীদের সঙ্গে ক্লান্তিহীনভাবে আলোচনা করছি,' বলেন তিনি।

বর্তমান সংকট নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছাকে নতুন করে চাঙা করে তুলেছে জ্বালানি খাতকর।

পোশাক খাতের শিল্পগোষ্ঠী এনার্জিপ্যাক গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং, পাওয়ার-এনার্জি ডিরেক্টর হুমায়ূন রশীদ বলেন, জ্বালানি সংকট থেকে পরিবেশ-সচেতন গ্রুপটি শিক্ষা নিয়েছে এবং ২০৩০ সালের শেষ নাগাদ গ্রুপটি তাদের সমস্ত কারখানায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে যাচ্ছে।

বিকল্প জ্বালানি বিনিয়োগ চারা এনার্জিপ্যাক অন্যদের মতো এখনই কোনো মূলধন ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে না। 

আরেকটি 'লিটমাস টেস্টের' অপেক্ষায় পোশাক খাত

স্প্যারো গ্রুপের এমডি মো. শোভন ইসলাম বলেন, পোশাক রপ্তানিকারকেরা আগামী মাসগুলোতে কঠিন সমস্যায় পড়বে। কারণ তাদের পণ্যের চাহিদা কমে যাচ্ছে; ফলে তৈরি কার্যাদেশ দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, গ্যাস ও বিদ্যুৎ স্বল্পতার কারণে বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। অনেক রপ্তানিকারক বাধ্য হয়ে ছাড়ে পণ্য রপ্তানি করছে। অনেকের শিপমেন্ট তিন মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।

শোভন বলেন, 'আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত যদি এ পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে কারখানাগুলোর কর্মসংস্থানের ওপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত যেসব কারখানার ফুল ক্যাপাসিটি অর্ডার নেই—মূলত যারা পোশাক খাতে প্রচুর রপ্তানি আদেশ আসার সময় নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়েছিল—সেগুলোর বেশি ক্ষতি হতে পারে।

'বাড়তি খরচ কমানো, বাজারজাতকরণের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাজার বহুমুখীকরণ করাই হচ্ছে গার্মেন্ট শিল্পের টিকে থাকার একমাত্র উপায়।'

রপ্তানি আদেশের পরিমাণ যদি বাড়েও, তাহলেও জ্বালানি সংকটের দ্রুত একটি সুরাহা করতে হবে।

তুসুকা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দীপু জানান, তারা ২০ মেট্রিক টন সক্ষমতার বয়লার চালাতে গিয়ে গ্যাসের সরবরাহ সংকটে পড়ছেন।

'গ্যাস সরবরাহ কম হওয়ায় আমরা বয়লারগুলো ডিজেল দিয়ে চালু রাখছি যথাসময়ে শিপমেন্ট করার জন্য। এর ফলে গত দুমাসে আমাদের ৫ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, অর্ডার কনফার্ম করার সময় এ বাড়তি খরচ হিসাবে রাখা হয়নি।

ঝুঁকিতে ওষুধশিল্পও

দেশের ওষুধশিল্প কাঁচামাল আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই ডলারের মান অস্থিতিশীল হওয়ার অর্থ এ খাতে আগের চেয়ে খরচ বেড়ে যাওয়া।

টিম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের এমডি মো. আবদুল্লাহ-হিল-রাকিব বলেন, ডলারের দামের ক্রমাগত বৃ্দ্ধির কারণে এপিআই (ওষুধ তৈরির জৈবিক উপাদান) আমদানিতে তাদেরকে ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড স্থানীয়ভাবে এপিআই তৈরি ও রপ্তানি করে। এটির এমডি এসএম সাইফুর রহমান জানান, তাদেরকেও ৩০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এপিআই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থাকে। তাই অল্প সময়ের মধ্যে সরবরাহকারী পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

সিরামিক খাতের উৎপাদন কমে অর্ধেকে

সিরামিক খাতে কার্যাদেশের পরিমাণ ঠিক থাকলেও গ্যাস সংকটের কারণে এ খাতের বর্তমান উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে।

আর্টিসান সিরামিক্স লিমিটেডের সিইও মামুনুর রশিদ বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ খাত লোকসান দিচ্ছে। এভাবে লোকসান দিতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

বাংলাদেশ সিরামিকস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্রেট ওয়াল সিরামিকের এমডি মো. শামসুল হুদা তাদের কারখানায় উৎপাদন কমপক্ষে অর্ধেক কমে গেছে বলে জানান।

'গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে গত জুনে আমরা ১৫ দিন কারখানা বন্ধ রেখেছিলাম। আপাতত এক শিফটে কোনোভাবে চলছে কারখানা,' বলেন তিনি।

চ্যালেঞ্জে উড়ালপথও

জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের দামে অস্থিরতার কারণে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চ্যালেঞ্জে পড়ছে এয়ারলাইনগুলোও।

একই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা মূল্য সমন্বয় না করে উল্টো ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, চলতি বছরের মার্চ থেকে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের যাত্রীর সংখ্যা কমতির দিকে। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর থেকে জ্বালানির মূল্য ১৭১ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এয়ারলাইনের সম্পূর্ণ পরিচালন খরচের অর্ধেকই যায় জ্বালানির পেছনে।

'রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান টিকেটের দামের সাপেক্ষে বাড়তি জ্বালানির দাম সমন্বয় না করায় আমরা দেশীয় বাজারে বর্তমানে অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছি।'

কিছু ক্ষেত্রে বিমান ছাড় দিচ্ছে, যার ফলে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নভোএয়ার এমডি।

চলতি বছরের মে মাসে সরকার জেট ফুয়েলের দাম বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৮ টাকা।

Related Topics

টপ নিউজ

উৎপাদন খাত / জ্বালানি সংকট / বিদ্যুৎ ঘাটতি / মূল্যস্ফীতি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 
  • প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 
  • সিঙ্গাপুরের আদলে ‘নাইট সাফারি পার্ক’ হচ্ছে চট্টগ্রামে
  • আনোয়ার গ্রুপ অর্থনীতিতে এই চাপের সময়েও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে
  • বদলে গেছে কান, পুতিন কি তার বডি ডাবল ব্যবহার করছেন!
  • সোলার মার্কেটের জালিয়াতি যেভাবে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে

Related News

  • পণ্যমূল্য নির্ধারণে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন: বাণিজ্যমন্ত্রী 
  • বক্তব্য টুইস্ট করা হয়েছে: ‘বেহেস্তে আছি’ মন্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ভারতে কমেছে খুচরা মূল্যস্ফীতি, মার্চের পর সর্বনিম্ন
  • তেলের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে: অর্থমন্ত্রী
  • ‘যুদ্ধের জন্য আরও ব্যয় সংকোচ করুন’: ১৯৪৫ সাল এবং এই সময়!

Most Read

1
অর্থনীতি

বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 

2
বাংলাদেশ

প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 

3
বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের আদলে ‘নাইট সাফারি পার্ক’ হচ্ছে চট্টগ্রামে

4
অর্থনীতি

আনোয়ার গ্রুপ অর্থনীতিতে এই চাপের সময়েও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে

5
আন্তর্জাতিক

বদলে গেছে কান, পুতিন কি তার বডি ডাবল ব্যবহার করছেন!

6
ফিচার

সোলার মার্কেটের জালিয়াতি যেভাবে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - [email protected]

For advertisement- [email protected]

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab