কাঁচা চামড়ার দাম কমায় এবারও হতাশ ব্যবসায়ীরা
গত কয়েক বছরের মতো এবারও কমেছে কাঁচা চামড়ার দাম। দাম নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়ার দামে অসন্তুষ্ট হয়ে আরেকটি বিষাদময় ঈদের আশঙ্কা করছেন যা গত কয়েক বছরের পতনের প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন অস্থায়ী কাঁচা চামড়া বিক্রির পয়েন্টে নিয়ে এসেছেন। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন।
রাজধানীর সিটি কলেজ মোড়ে দুপুর ১ টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা চামড়া বিক্রি ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
"সবকিছুর দাম বাড়ে, কাঁচা চামড়ার দাম বাড়ে না," বলেন এক মৌসুমি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া।
মোহম্মদ মিন্টু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ৪ লাখ টাকার দামের গরু চামড়া বিক্রি করেছেন ৮৫০টাকায়।গত ১০ বছর আগেও এমন চামড়ার দাম ২ হাজার টাকা ছিল বলে জানান তিনি।
এ বছর রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর ঢাকায় গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং রাজধানীর বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ১৫-১৭ টাকা।
একটি গরু থেকে কমপক্ষে ২০ বর্গফুট এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ টিবিএসকে বলেন, এ বছর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি যা গত বছর ছিল প্রায় ৮২ লাখ।
"ঢাকায় ছোট গরুর জন্য প্রায় ৬০০ টাকা এবং বড় গরুর ক্ষেত্রে দাম এ বছর ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে," বলেন তিনি।
সন্ধ্যার পর দাম কমতে শুরু করবে উল্লেখ করে তিনি মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আজ বিকেলের মধ্যে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া বিক্রি করার পরামর্শ দেন।
"কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য, ব্যবসায়ীদের সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করা উচিত," বলেন তিনি।