ব্যাংক খোলা থাকলেও গ্রাহক উপস্থিতি ছিল কম
সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ব্যাংক খোলা থাকলেও গ্রাহক উপস্থিতি বেশি ছিল না। রাজধানীর কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংকে যে উপচে পড়া ভিড় ছিল, সেই তুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার) ছিল ফাঁকা।
সপ্তাহের শেষ দিন হলেও গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকা প্রসঙ্গে কয়েকজন ব্যাংকার নাম প্রকাশ না করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকবে- আগের এমন সিদ্ধান্তের জেরে মঙ্গলবারই গ্রাহকরা তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম সেরে ফেলেছিলেন। ফলে বৃহস্পতিবার অতটা ভিড় হয়নি।
জনতা ব্যাংকের শ্যামলী শাখার এক কর্মকর্তা জানান, তাদের শাখায় গ্রাহক উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। তিনি বলেন, 'জরুরি লেনদেন ছাড়া কেউ ব্যাংকে আসেনি। যারা এসেছিলেন, তাদের প্রায় সবাই ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ সেরেছেন।'
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ব্যাংক এশিয়ার পোস্তগোলা শাখার এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, লকডাউনকে সামনে রেখে সাধারণ গ্রাহকরা মঙ্গলবারই প্রয়োজনীয় লেনদেন সেরে ফেলেছিলেন। বৃহস্পতিবার গ্রাহক উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। এদিন ব্যবসায়ীরাই বেশি এসেছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা উত্তরের এক জোনাল কর্মকর্তা জানান, তার জোনের অধীনে থাকা ১৫টি সাধারণ শাখার মধ্যে ৭টি শাখা খোলা ছিল। এর মধ্যে রামপুরা শাখায় গ্রাহকদের উপস্থিতি অন্য শাখাগুলোর চেয়ে সামান্য বেশি ছিল। তিনি জানান, সাধারণ শাখার বাইরে এডি (অথরাইজড ডিলার) ও কর্পোরেট শাখাগুলো খোলা রয়েছে।
কোভিডের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনে প্রথমে ব্যাংক বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে। তবে লেনদেন সংক্রান্ত কাজ সারতে ব্যাংকারদের বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে অবস্থান করতে হয়েছে।
১৩ এপ্রিলের ব্যাংক খোলা রাখা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রতি কর্মদিবসে একটি শাখা খোলা থাকবে। অন্যদিকে, উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।
এ ছাড়া ব্যাংকের প্রধান শাখাসহ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করার জন্য অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা রাখতে হবে। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া লকডাউনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।