ব্যাংক কর্মীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার নির্দেশ
সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতের জন্য কর্মীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত নিশ্চিত করতে না পারলে যৌক্তিকহারে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন এন্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, কোভিডের প্রাদুর্ভাব মোকাবলোয় চলমান লকডাউনে সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চলছে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাংকে যাতায়াতে ভোগান্তিতে আছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
গেল ১৩ এপ্রিলের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনে ব্যাংকগুলো স্ব স্ব কর্মীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করার কথা। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সকল ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো।
অন্যদিকে গণপবিরহনের অপ্রতুলতার কারণে ব্যাংক কর্মীদের ব্যাংকে যাতায়াতে অধিক ব্যয় ও ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি নিরসনে যথাযথ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে আবারো নির্দেশনা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোন কারণে নিজস্ব ব্যবস্থাপানায় যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে যাতায়াত ভাতা দিতে হবে। ভাতার বিষয়ে বলা হয়ছে, যেহেতু এখন গণপরিবহন সংকট সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে ব্যাংকারদের।
অধিক ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক হারে যাতায়াত ভাতা নির্ধারণ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত খরচ পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদ সভায় অনুমোদন করে নিতে হবে।
সর্বাত্মক লকডাউনের সময়সীমা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোয় সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রমও একই দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনে ব্যাংকিং সেবা দিতে আপত্তি না থাকলেও গণপরিবহন সংকটের ভোগান্তিতে আছেন বলে জানান অনেক ব্যাংকার।
এ প্রসঙ্গে কয়েকজন ব্যাংকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গণপরিবহন না থাকা এবং অফিস থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা ভোগান্তিতে আছেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ খরচ হচ্ছে। ব্যাংকে যাওয়া আসায় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি খরচ পড়ছে। ভাতা দিলে তাদের কিছুটা খরচ কমবে ঠিকই, তবে সেটা আদৌ কতটুকু পাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দিহান।
ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোন যাতায়াত সুবিধা দিচ্ছে না। ব্যাংকের কো-অপারেটিভ সোসাইটি থেকে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হলেও অফিসে যাওয়ার সময় ভাড়া দিচ্ছে হচ্ছে ১৫০ টাকা। যেখানে সাধারণ গণপরিবহনে ভাড়া ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা।
স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়েও অফিস থেকে ফেরার সময় ওই বাস পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে জানান, অফিস শুরুর সময় একই হলেও ছুটির সময়টা বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন হয়। কিন্তু বাস নিদির্ষ্ট সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় অনেককেই নিজ উদ্যোগে ভোগান্তি নিয়েই বাসায় ফিরতে হচ্ছে।