বেনাপোলে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ৭ হাজার ট্রাক
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে গত ৪ দিন ধরে চলে আসা বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতি'র ধর্মঘটে অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
বন্দরে আটকা পড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্য বহন করতে না পারায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় যেমন ব্যহত হচ্ছে শিল্পকলকারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। সন্তোষজনক সমাধানের মধ্য দিয়ে দ্রুত এ ধর্মঘট প্রত্যাহার চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে আজ সোমবার রাতে মালিক সমিতির নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এরপরই ঘোষণা আসতে পারে ধর্মঘট প্রত্যাহারের।
এদিকে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারে বেনাপোল বন্দরে আটকে পড়া ভারত ফেরত যাত্রীরা গন্তবে ফিরতে শুরু করেছে।
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম জানান, ট্রাক কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটে টানা ৪ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানে পড়েছেন তেমনি বন্দরের দিনমজুর শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, "৪ দিন ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে প্রায় ভারতীয় ৭শ ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে। এসব ট্রাক প্রতি প্রতিদিন আমদানিকারককে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এছাড়া রপ্তানি পণ্যও আসতে পারছেনা বন্দরে। পেট্টাপোলে আটকে আছে প্রায় ৮ হাজার ট্রাক। তেলের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রেখে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে পণ্য খালাস নিতে পারছেন না। তবে এপথে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকেরা বন্দরে আসছে। আমদানিকারকেরা পণ্য খালাস নিলে বন্দর সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি রাজু আহম্মেদ জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারনে এপথে যাত্রী যাতায়াত কমে গিয়েছিল। বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারে আবারো যাত্রী যাতায়াত বড়েছে।
বেনাপোল সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারে রোববার রাত থেকে তারা যাত্রীবাহী বাস ছাড়ছেন। সরকার নির্ধারিত ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।