বাংলাদেশেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিল বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের ৩০ টি পৌরসভায় উন্নত পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৯ঃ৩০ টায় প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে জানানো হয়।
বাংলাদেশকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ বছর সুদ দিতে হবে না। পরবর্তীতে ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ এবং ০.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের পৌরসভা এবং ছোট শহরগুলোর প্রায় ৬ লাখ মানুষ পাবে নিরাপদ পানি।
দেশের এই ৩০টি পৌরসভায় পাইপ সংযোগে পানি সরবরাহের সুবিধা নেই। তাই এই প্রকল্পের অধীনে পানি পরিশোধন সুবিধা, পানি সংরক্ষণ ,সরবরাহ এবং বন্টনে পাইপ সংযোগ, বাড়িগুলোতে মিটার সংযোগের মতো আরও বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৮৭ শতাংশ বাড়িতে অন্যান্য বিভিন্ন পানির উৎস থাকলেও পাইপ সংযোগে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে মাত্র ১০ শতাংশ বাড়িতে।
দেশের অর্ধেক সংখ্যক পৌরসভায় পাইপ সংযোগে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও খুব অল্পসংখ্যক মানুষ এই সংযোগ সুবিধা পায়।
বিশ্বব্যাঙ্কের এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় “উন্নত পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা একটি আধুনিক শহরের অপরিহার্য অঙ্গ। আর তাই পৌরসভাগুলোয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করায় সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “এই এলাকাগুলোয় অধিবাসীদের পরিচ্ছন্নতা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায়ও সহায়ক হবে এই প্রকল্প।”
প্রকল্পের ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এশিয়ান ইনফ্রাসটাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) বা এশিয়া অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক এবং ৯.৫৩ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বিশ্বব্যাংক। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের মোট ১২.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চালু আছে, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান এবং সুদহীন ঋণ প্রদান করেছে।