বকেয়া ৭ কোটি টাকা দিতে ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠাল পেপারফ্লাই
বিতর্কিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালিকে বকেয়া অর্থ প্রদানের বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিভিত্তিক লজিস্টিক নেটওয়ার্ক পেপারফ্লাই।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইভ্যালির কাছে প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে পেপারফ্লাইয়ের। তবে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি জানুয়ারির পর থেকে এখনো এ বিল পরিশোধ করেনি।
পেপারফ্লাইয়ের রেভিনিউ অ্যাশিউরেন্স ম্যানেজার ফাররিন মনসুর বলেন, "পেপারফ্লাই বেশ কিছুদিন ধরে ইভ্যালিকে ডোরস্টেপ ডেলিভারি সার্ভিস দিচ্ছে। তবে বকেয়া আদায় করার জন্য আমরা একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তাছাড়া, নানাভাবে চেষ্টার পরও ইভ্যালির আমাদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দেওয়ায় আমরা এখন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা গত সোমবার ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি, এখন আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন, ইভ্যালির কাছে মার্চেন্টদের পাওনার পরিমাণ ২০৬ কোটি টাকা।
তবে কতটি মার্চেন্ট এর কাছে কোম্পানিটির এই দেনা সৃষ্টি হয়েছে, কিংবা কতদিনের মধ্যে দেনা পরিশোধ করবে ইভ্যালি- সে সম্পর্কে কিছুই বলেননি তিনি।
মার্চেন্টদের পাওনা কতোদিনের মধ্যে পরিশোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে- তা জানতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, এ প্রশ্নের কোন জবাব দেননি মোহাম্মদ রাসেল। বরং মার্চেন্টদের কাছে এই পরিমাণ দেনাকে 'স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য' বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন তিনি।
বিপুল ডিসকাউন্টের লোভ দেখিয়ে ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি অগ্রিম টাকা নিলেও তাদের পণ্য সরবরাহ করেনি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা অনেক গ্রাহক এখনও পণ্য পাননি। ইভ্যালি যেসব গ্রাহকদের রিফান্ড চেক দিয়েছে, ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও বাউন্স হচ্ছে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইভ্যালি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।
এছাড়াও জালিয়াতি বা আত্মসাতের তদন্ত চলমান থাকায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।