পোশাক শিল্পে নিছক সেলাই থেকে বাংলাদেশের ডিজাইনিংয়ে বিকশিত হওয়ার গল্প
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনে রং, কাপড়, কাটিংয়ে নিত্য-নতুন ডিজাইন দেখা যায়। নিত্যদিনের পোশাক বা পার্টিওয়্যার সবক্ষেত্রেই দেখা মেলে নতুনত্বের।
ফ্যাশন ডিজাইনের কথা শুনলে চোখে ভাসে প্যারিস, মিলান, লন্ডন ও নিউইয়র্কের মতো কসমোপলিটন শহরের চিত্র যেখানে ফ্যাশন হাউজগুলো সারা বছরই গ্রাহকদের পরিবর্তিত রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন ডিজাইন হাজির করতে ব্যস্ত থাকে।
কেবল বায়ারের দেওয়া ডিজাইনে পোশাক বানানোর প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবসাকে টেকসই করতে নিজস্ব ডিজাইন ডেভেলপমেন্টে মনযোগী হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক বায়ার বা ব্র্যান্ডের পছন্দ হলে এবং বাজার পেলে বাড়তি রপ্তানি আদেশের পাশাপাশি পোশাক ভেদে দর বাড়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। এ কারণে বড় রপ্তানিকারকদের অনেকেই এখন এ পথে হাঁটছেন।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দেশে শতাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের এখন নিজস্ব ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার রয়েছে যার ২৫টিতে রয়েছে বিশ্বমানের ডিজাইন ও ইনোভেশন স্টুডিও। এরমধ্যে অনেকেরই বিদেশের মাটিতেও আলাদা অফিস ও ডিজাইনার রয়েছে। রপ্তানিকারকদের পাশপাশি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে, এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেরও মানসম্পন্ন ডিজাইন সেন্টার রয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সাধারণ মানের পোশাক তৈরি করে এখন ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে করোনা ভাইরাসজনিত পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনেক বায়ার এখন নিজেদের খরচ কমাতে নিজস্ব ডিজাইন ও ইনোভেশন টিমের জন্য বিপুল পরিমাণ ব্যয় কমিয়ে আনতে চাইছেন। এক্ষেত্রে সাপ্লায়ারকে নিজস্ব ডিজাইন সেন্টার স্থাপনে উৎসাহিত করছেন।
দেশের অন্যতম বড় ওভেন পোশাক রপ্তানিকারক স্প্যারো গ্রুপ বিপুল বিনিয়োগে ২০১৪ সালে নিজস্ব ডিজাইন স্টুডিও তৈরি করেছে। দিনে দিনে এর ব্যপ্তি বেড়েছে। দেশ ছাড়িয়ে ইউরোপেও নিয়োগ দিয়েছে ডিজাইনার। বছরে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা এই গ্রুপের আরেকটি পোশাক কারখানা রয়েছে জর্ডানে। তিনজন বিদেশিসহ প্রতিষ্ঠানটির এই ডিজাইন স্টুডিওতে কাজ করেন চার শতাধিক লোক। তারা মূলত পরবর্তী এক দুই বছরে ক্রেতার পোশাকের ফ্যাশন চাহিদায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তার ভিত্তিতে বায়ারের জন্য ডিজাইন ডেভেলপ করে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমার রপ্তানির অর্ধেকের বেশি নিজস্ব ডিজাইনের। আমাদের ডিজাইন ক্রেতার পছন্দ হলে কিংবা বাজার পেলে ওই বায়ার বা ব্র্যান্ডের পরবর্তী দুই সিজনের রপ্তানি আদেশের পণ্য তৈরির সুযোগ পাই আমরা। অর্থাৎ এর ফলে ক্রেতার আস্থা তৈরির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে বড় আকারের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয় আর পণ্যভেদে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দর পাওয়া যায়।"
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডে অবস্থিত ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড কয়েক বছর ধরে নিজস্ব ডিজাইন সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি 'ব্লুএক্সওনলি' নামে নিজস্ব ব্র্যান্ডের ডেনিম প্যান্টও বিপণন করছে ইউরোপের বাজারে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোস্তাফিজ উদ্দিন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন ডিজাইন নিয়ে কাজ করার জন্য। হাল আমলের ফ্যাশন আর ডিজাইনের মুন্সিয়ানা খুঁজতে তিনি নিরন্তর ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "একসময় রপ্তানির ৮০ শতাংশই নিজস্ব ডিজাইনের পণ্য ছিলো। তবে করোনাভাইরাস অতিমারি আসার পর নিজস্ব ডিজাইনের পোশাক রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে।"
তিনি বলেন, "পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে মূলত সেখানের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিসের চেষ্টা করি। কী ধরনের কটন, ফেব্রিক কিংবা ওয়াশ ক্রেতার পছন্দ, পরবর্তি সিজনে কী ডিজাইনের পণ্য ক্রেতা পছন্দ করতে পারে, তার জানার চেষ্টা করি,"
ক্রেতা যেখানে থাকেন, সেই বাজারের ডিজাইন কিংবা ফ্যাশন ট্রেন্ড জানা জরুরি বলে জানান তিনি।
"এজন্য আমার রপ্তানি বাজারগুলোর ডিজাইন জানার চেষ্টা করি। ইউরোপেও আমার প্রতিষ্ঠানের ডিজাইনার রয়েছে," বলেন তিনি।
নিজস্ব ডিজাইনের পণ্যে কখনো কখনো ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দর পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
দেশে কতগুলো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডিজাইন সেন্টার রয়েছে কিংবা রপ্তানির কত শতাংশ নিজস্ব ডিজাইনের – এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ বা বিকেএমইএ'র কাছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাছেও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।
অন্যদিকে ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে খাত সংশ্লিষ্টদের সবাই এ ধরনের তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করতেও এগিয়ে আসেন না। ফলে এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন।
অবশ্য ২০১৮ সালে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশের ২১ শতাংশ রপ্তানিমুখী পোাশাক কারখানায় ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে বড় আকারের কারখানাগুলোর ৮৩ শতাংশের, মাঝারি আকারের কারখানার ২৩ ও ছোট কারখানাগুলোর ১৬ শতাংশের ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "২২০টি কারখানার নমুনার ভিত্তিতে এ জরিপ করা হয়। দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পোশাক কারখানার হিসাব ধরা হলে এই সংখ্যা সাত শতাধিক।"
তবে ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ডেনিম পোশাক রপ্তানিকারকদের বেশিরভাগেরই ওয়াশ এর জন্য আলাদা টিম রাখতে হয়, যাকে অনেকেই ডিজাইন সেন্টার হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু বাস্তবে ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার কিংবা ডিজাইন স্টুডিওর ধারণা আরও বিস্তৃত।
খাত সংশ্লিষ্টদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, দেশে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে বড় এবং 'মানসম্পন্ন' ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার কমবেশি ২৫টি। নিজস্ব ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার রয়েছে, এমন অন্তত ১০ জন অ্যাপারেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাশাপাশি, বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ঘেঁটে এবং ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এপিলিয়ন গ্রুপ, ভিয়েলাটেক্স গ্রুপ, স্নোটেক্স গ্রুপ, অনন্ত গ্রুপ, স্প্যারো গ্রুপ, এসএম নিটওয়্যার, শারমিন গ্রুপ, টিম গ্রুপ, ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স, কেডিএস গ্রুপ, স্কয়ার ফ্যাশন, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও, এসকিউ গ্রুপ, টিএডি গ্রুপ, ফকির ফ্যাশন, সোনিয়া গার্মেন্টস, উর্মি গ্রুপ, মেঘনা নিট, ইন্টারস্টফ এ্যাপারেলস লিমিটেড-এর অপেক্ষাকৃত বড় বিনিয়োগের ডিজাইন সেন্টার রয়েছে।
এছাড়া হোম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক হিসেবে নোমান গ্রুপ এবং এসিএস টেক্সটাইলের নামও রয়েছে।
গত প্রায় এক দশক আগে হাতে গোণা দু্ই একজন নিজস্ব ডিজাই্ন সেন্টার স্থাপন করতে শুরু করেন। এরমধ্যে একটি চট্টগ্রামের প্যাসিফিক গ্রুপের প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড। এরপর বড় পুঁজির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই এ পথে যাত্রা শুরু করে।
বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান টিম গ্রুপের দেশের পাশাপাশি স্পেন, ইতালি ও জার্মানিতে নিজস্ব ডিজাইনার টিম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার ও বিজিএমইএ'র পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের ডিজাইন ক্রেতার পছন্দ হলে তখন আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের বাড়তি সময় বেঁচে যায়, যাতে ২৫ থেকে ৩০ দিন লিড টাইমে এগিয়ে থাকা সম্ভব হয়,"
অবশ্য রপ্তানিকারকরা নিজস্ব ডিজাইনের কথা বললেও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলছেন, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের নিজস্ব ডিজাইনে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ এখনো খুবই কম।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় পোশাক ক্রেতা ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের পোশাক কিনে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা অফিসের প্রধান স্বপ্না ভৌমিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "কিছু পণ্যে আমরা সাপ্লায়ারের কাছ থেকে প্রচুর ইনপুট নিই। এর মাধ্যমে কো-ক্রিয়েশন তৈরি হয়। আমরা একসাঙ্গে ওয়াশ ডেভেলপ করি, যদি আমার মতো হুবহু না হয়, তখন বিকল্প ইনপুট নিই। এর মাধ্যমে একটি ডিজাইন ডেভেলপ করা হয়,"
তিনি জানান, বর্তমানে এম অ্যান্ড এস বাংলাদেশের প্রায় ৮০টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে। এর মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কো-ক্রিয়েশনের বা উভয় পক্ষের সমন্বয়ে পণ্যের ডিজাইন তৈরি করা হয়।
তবে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে নিজস্ব ডিজাইন তৈরির কাজ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত এসকিউ বিরিকিনা নামের অন্তর্বাস রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দেন।
তিনি বলেন, "ছোট অর্ডার দিয়ে শুরু হওয়ার পর এখন তাদের সঙ্গে বছরে প্রায় মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয় আমাদের,"
তিনি বলেন, যার ডিজাইন ও ইনোভেশন যত উন্নত, তার ব্যবসায়ের সুবিধাও বেশি। দিনে দিনে নিজস্ব ডিজাইন তৈরি এবং পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারলে টেকসই হওয়া খুব কঠিন উল্লেখ করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ডিজাইন ডেভেলেপমেন্টে এম অ্যান্ড এসের অবদানের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, "উদ্যোক্তাদের চিন্তাধারা ছিল কম দামের পোশাক বানানো। কিন্তু আমরা তাদের দিয়ে ভালো কেমিক্যাল, ওয়াশের মাধ্যমে কীভাবে পণ্যকে উচ্চ মানের করা যায়, তা দেখিয়েছি। গত ছয় সাত বছরে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।"
ডিজাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জ
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এতে প্রশিক্ষিত লোকবল, লজিস্টিকিসসহ বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হয়। অনেক উদ্যোক্তা বাড়তি এ চাপ নিতে চান না। স্প্যারো গ্রুপেরশভন ইসলাম জানান, একটি ভালো মানের ডিজাইন স্টুডিওর জন্য ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা বা এর চাইতেরও বেশি বিনিয়োগ করতে হয়।
এরপর নিয়মিত ব্যয় তো রয়েছেই। এ কারণে অনেকে সাহস করে এগিয়ে আসতে চাইছেন না। এর বদলে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ইউরোপ আমেরিকায় ডিজাইনারদের কাছে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ডিজাইন কালেকশন করেন।
তবে উদ্যোক্তাদের অনেকেই বলছেন, এটি মূলত নিজস্ব চিন্তাধারার বিষয়। এখনো অনেকে স্বল্প মূল্যের পন্য তৈরিতেই মনযোগী। এমনকি বছরে শত মিলিয়ন ডলার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানেরও কারো কারো মধ্যে এ মনোভাব রয়ে গেছে। এখনো বিশ্বমানের ও দক্ষি ডিজাইনের অভাব রয়েছে। আবার বড় ব্যয়ের পর নিজস্ব ডিজাইন প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলে অনেকে হতাশ হন।
নিজস্ব ডিজাইন তৈরিতে প্রাতিষ্ঠানিক কী উদ্যোগ আছে?
পোশাক খাতে এখনো বড় ডিজাইন সেন্টারগুলোর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে দুই-তিন জন বিদেশি ডিজাইনার থাকলেও গত কয়েক বছরে স্থানীয় জনশক্তির মাধ্যমেই এ চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, এক্ষেত্রে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির পাশাপাশি কিছু সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভালো ভুমিকা রেখেছে।
তবে বিজিএমইএ জানিয়েছে, সম্প্রতি সংগঠনটি সেন্টার ফর ইনভেশন নামে একটি বিশেষায়িত সেন্টার গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে। শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।