পুঁজিবাজারে ২২৮ কোটি কালো টাকা বিনিয়োগ
বৈধ উৎস ব্যতীত অর্জিত কালো টাকা ১০% হারে কর দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে ২২৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতে এই সুযোগ নিয়েছেন ২০৫ জন ব্যক্তি, তারা তাদের আয়কর বিবরণীতে এই বিনিয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা মূল ধারায় ফিরে আসায় সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২২.৮৪ কোটি টাকা।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাস বা ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ অব্যহত থাকবে।
কর আওতার বাইরে থাকা কালো টাকা অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ১০ শতাংশ কর প্রদান ও শর্তহীন বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়।
২০২১-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, "অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে তিন বছরের লক-ইন মেয়াদসহ কতিপয় শর্তে আগামী ১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণির করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে এবং উক্ত বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ কর দিলে আয়কর কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।"
তারল্য বাড়াতে পুঁজিবাজারের কালো টাকা বিনিয়োগে সাদা করার সুযোগকে সাধুবাদ জানালেও তিন বছরের শর্ত শিথিলের দাবি তোলেন পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাশাপাশি বালাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও তিনবছর লকইনের শর্ত তুলে দেওয়া ও কমানোর পক্ষে মতামত তুলে ধরে। পরবর্তীতে এ শর্ত শিথিল করে এক বছর করা হয়।