জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে পারে কাঁচাবাজারে, আশঙ্কা বিক্রেতাদের
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। আগামীকাল শনিবার থেকেই বাজারে এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে বলে তাদের ধারণা।
শুক্রবার পর্যন্ত শাকসবজি, মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, তেল ও ডালসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, আগামীকাল থেকে এসবের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের ফাতেমা রাইস এজেন্সির প্রোপাইটর মাহফুজ আলম বলেন, "গত ১০ দিন ধরে বাজারে চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে আগামী দিনগুলোতে চালের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।"
পাইকারি ডাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, একতা ট্রেডারের ম্যানেজার মোহাম্মদ জুয়েল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, "পাইকারি পর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কোনো প্রভাব পড়েনি।"
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১০-১২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০-৯৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, সব জিনিসের দাম প্রায় আগের মতোই আছে।
কালশী বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও সিম ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকা ও ডাল প্রতি কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের আড়তদার মোস্তফা বলেন,"আজ পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ কমে গেলে দাম বেড়ে যেতে পারে।"
কারওয়ান বাজারের তেলের ডিলার মোহাম্মদ মিশু বলেন, "সয়াবিন তেলের দাম হয়তো বাড়তে পারে। তবে বর্তমানে আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে।"