কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর সরকারের
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলাসহ ভবিষ্যতের দুর্যোগ সহনশীল ব্যবস্থা তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তিনটি অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। তিনটি চুক্তির আওতায় টিকাদানসহ নানা কর্মসূচিতে মোট একশ'কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে দাতা সংস্থাটি।
সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থার বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন চুক্তিগুলোয় স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) ঋণের অর্থ দেবে, যা পরিশোধে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ।
এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া অতিরিক্ত ৫০ কোটি ডলারের অর্থায়নে কোভিড-১৯ জরুরী ব্যবস্থাপনা ও মহামারি প্রস্তুতিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৫ কোটি নাগরিককে টিকাদানের মাধ্যমে সুরক্ষা দিতে পারবে বাংলাদেশ। আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক দাতা গোষ্ঠীটি জানায়, এই অর্থে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, বিতরণ ও টিকদান কর্মসূচিতে সহায়তা পাবে।
পাশাপাশি প্রকল্পটির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে কোভিড শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করা হবে, বাড়তি এই সক্ষমতার ফলে ভবিষ্যতে জরুরী যেকোনো জনস্বাস্থ্য সঙ্কট মোকাবিলায় প্রস্ততি থাকবে।
বিশ্বব্যাংক তাদের প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল এন্টারপ্রিনিউরশিপ (প্রাইড) প্রকল্পের আওতায় আরও ৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে, যা সামাজিক ও পরিবেশগত মান নিশ্চিতের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, সফটওয়্যার পার্কে দুইশ' কোটি ডলারের সরাসরি বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।