দায় মেটানোর ব্যাখ্যা দিতে ৬ মাস সময় চেয়েছে ইভ্যালি
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের প্রতি চলমান দায়ভার স্পষ্ট করার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬ মাস সময় চেয়েছে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি।
মন্ত্রণালয়ের এক কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে ইভ্যালি জানায়, "তৃতীয় নিরপেক্ষ নিয়ন্ত্রক দ্বারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্থিক বিবরণী এবং কোম্পানির ভ্যালুয়েশন-সহ উপস্থাপন করার জন্য এবং উক্ত পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্ণিত ২-এর 'ক' হতে 'ঙ' পর্যন্ত বিষয়ে আমাদের অবস্থান এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি উপস্থাপনের জন্য ন্যূনতম আরও ৬ (ছয়) মাস সময় প্রয়োজন।"
১০০০ কোটি টাকার একটি বিনিয়োগ চুক্তি করার বিষয়েও মন্ত্রণালয়কে ইভ্যালি অবহিত করেছে, যেটি থেকে প্রাথমিকভাবে এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ২০০ কোটি টাকা পাবে। অবশ্য ১ আগস্ট দুপুরে জমা দেওয়া ওই চিঠিতে বিনিয়োগকারী কোম্পানি যমুনা গ্রুপের নাম উল্লেখ করেনি ইভ্যালি।
ইভ্যালি আরও জানিয়েছে, 'এই সময়ের মধ্যে ইভ্যালি পূর্বের প্রতিশ্রুত পণ্যের ডেলিভারি ক্রমান্বয়ে সমাপ্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং প্রতি ১৫ দিন অন্তর ডেলিভারির অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করবে।'
এর আগে, গত ১৯ জুলাই বহুল আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি ও গ্রাহক ভোগান্তির কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নোটিশে ইভ্যালির আর্থিক ত্রুটির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির কাছে। ১ আগস্টের মধ্যে নোটিশে উল্লেখিত বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ই-কমার্স খাতে নেতিবাচক প্রভাব রোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিওটিও সেল সেদিন ওই নোটিশ পাঠায়।
তারও আগে, ১৮ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছিলেন, 'ইভ্যালি কীভাবে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের বকেয়া পরিশোধ করতে তার ব্যাখ্যা চেয়ে সোমবারই (১৯ জুলাই) চিঠি পাঠানো হবে।'
'ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে কোম্পানি আইন অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে লিকুইডেটর নিয়োগ দিয়ে ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনা মেটানো কিংবা ইভ্যালির সম্পদ জব্দ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিজেও মামলা করতে পারে,' যোগ করেছিলেন তিনি।