ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে কম দামে পণ্য কেনার লোভ সংবরণ করুন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইভ্যালি এবং ই-অরেঞ্জের মতো সাইটগুলোর ঘটনা রোধ করতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে কম দামে পণ্য কেনার লোভ সংবরণ করতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা মোকাবিলায় সরকার সচেষ্ট এবং সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে একটি বৈঠক করে যুবক, ডেসটিনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ মূল্যায়ন করে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য করণীয় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেব"।
প্রসঙ্গত, বিপুল ডিসকাউন্টের লোভ দেখিয়ে ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি অগ্রিম টাকা নিলেও তাদের পণ্য সরবরাহ করেনি।
গত জানুয়ারি থেকে ক্রেতারা যেসব পণ্যের অর্ডার দিয়ে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেছেন, সেগুলো ডেলিভারি করতে পারে নি ইভ্যালি। সময়মত পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়ে যেসব ক্রেতাকে রিফান্ড চেক দিয়েছিল ইভ্যালি, ব্যাংকে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় সেগুলোও বাউন্স করেছে।
এর আগে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুটি চিঠিতে ইভ্যালি জানিয়েছিল তাদের কাছে গ্রাহকের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের পাওনার পরিমাণ ২০৬ কোটি টাকা।
ভুক্তভোগী এক গ্রাহকের মামলায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরেকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জও একই ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করছিল না; পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়েও অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। এই বিতর্কিত অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।