আইএমএফের সহায়তায় দেশের রিজার্ভে নতুন রেকর্ড
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এসডিআর বরাদ্দের অর্থ যোগ হওয়ায় মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬.৫৮ বিলিয়ন ডলার। দিনশেষে আইএমএফের বরাদ্দ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ নতুন রেকর্ড গড়ে।
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আইএমএফ বাংলাদেশকে এসডিআর হিসেবে ১.৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স রিজার্ভ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ৩ মে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ওইদিন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫.১০ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশের রিজার্ভ প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় ২০২০ সালের অক্টোবরে।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব শেষ জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১.৮৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
২০২০-২১ হিসাব বছরে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নামলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে— এমন আশঙ্কায় ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাকি রাখতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।