বিড়াল নয়, ঘরের ভেতর সিংহ পোষেন তারা!
শৈশবে ঘুম পাড়ানির গল্পে আমরা অনেকেই হয়তো শুনে থাকব সিংহের সঙ্গে বাস করা বীরদের কথা। তবে একথা নির্দ্বিধায় বলাই যায়, বনের রাজার সঙ্গে বাস্তবে বাস করার কথা দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবতে চাইবে না।
অথচ নিশিদিন এমনই অভাবনীয় জীবনযাপন করছেন রাশিয়ার পেনজা অঞ্চলের আলেকজান্দার দিমিত্রিভ ও মারিয়া দিমিত্রিভ। গত তিন বছর ধরে এ দম্পতি নিজেদের বাড়িতে বসবাস করছেন এক পাহাড়ি সিংহের সঙ্গে।
সিংহটির বয়স এখন ৩ বছর। ওর নামও আছে একটা: মেসি!
মেসির প্রজাতিকে বিবেচনা করা হয় বন্য এলাকার অন্যতম শীর্ষ শিকারি হিসাবে। যদিও ওর জন্ম পোষাপ্রাণীর চিড়িয়াখানায় এবং জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে পোষ্য বিড়াল হিসাবে। তাই দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততায় মেসির নিয়মিত আচরণেও চলে এসেছে গেরস্থ বাড়ির বিড়ালের স্বভাব।
দিমিত্রিভ দম্পতি জানে, মেসি শিকারি প্রাণী, প্রয়োজনে নিজের শক্তি পরীক্ষা করে দেখতে সে পিছপা হবে না; তাই ওর বুনো দিকটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
আলেকজান্দার ও মারিয়া- দুজনই প্রশিক্ষিত মনোবিজ্ঞানী, তারা দুজনেই বিড়াল খুব ভালোবাসেন। তবে একটি পাহাড়ি সিংহের সঙ্গে বাস করার কথা এই দম্পতিও এক সময় স্বপ্নে ভাবেননি।
কিন্তু ২০১৮ সালে যখন তারা জানলেন, স্থানীয় পোষাপ্রাণীর চিড়িয়াখানায় একটি পাহাড়ি সিংহ শাবকের চিকিৎসার গুরুতর প্রয়োজন, সেই পরিস্থিতে কিছুতেই নির্বিকারভাবে বসে থাকতে রাজি ছিলেন না তারা। তাই অসুস্থ শাবকটিকে আরও ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মেসিকে বাড়ি এনে সুস্বাস্থ্যবান করে তুলতে সক্ষম হন তারা। ওর সুবিধার্থে নিজেদের বাড়িকেও ঢেলে সাজান।
-
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল