বালকের ঘাড় ছিদ্র করে ঢুকে পড়লো নিডলফিশ

১৬ বছরের ইন্দোনেশিয়ান এক বালক গভীর রাতে বন্ধুকে নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে। সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল। তবে ভয়ংকর এক ঘটনা ঘটে গেলো যখন ওই বালকের বন্ধু পানির দিকে তাক করে টর্চের আলো জ্বালালেন। আলোর বিপরীত দিক থেকে সরুচোয়ালওয়ালা একটি নিডলফিশ এসে আঘাত করে ওই বালকের ঘাড়ে। ফলে বালকের ঘাড় ফুটো হয়ে যায় এবং নৌকা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
ভয়ংকর এই ঘটনায় দুই বন্ধু বেশ সাহসের পরিচয় দেন। আধা কিলোমিটার সাঁতরে সমুদ্রের পাড়ে এসে এরপর তারা যান হাসপাতালে।
ঘটনাটি ঘটে ১৮ জানুয়ারি। ওই রাতে ১৮ বছরের বালক মোহাম্মদ ইদুল তার বন্ধু সারিকে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।
মাছ ধরার সময় বন্ধু সারি যখন তার মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান তখন একটি নিডলফিশ পানি থেকে লাফ দিয়ে অপর বন্ধু ইদুলের ঘাড়ে এর সরুপ্রান্ত ঢুকিয়ে দেয়। এসময় মাছটির লাফালাফিতে ইদুল এবং সারি নৌকা থেকে উল্টে পানিতে পড়ে যান। কিন্তু মাছটিকে আর ইদুলের ঘাড় থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। উপস্থিত বুদ্ধিতে তারা দুই বন্ধু মিলে মাছটিকে শক্ত করে চেপে ধরে এর নাড়াচাড়া বন্ধ করেন, যাতে ঘাড় থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়। এরপর দুই বন্ধু সাঁতরে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তাদের গ্রামে ফিরে যান।
গ্রামে গেলে ইদুলের বাবা ওই রাতেই তাকে গ্রাম থেকে দেড় ঘন্টা দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ওই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় ইদুলকে শেষমেশ প্রাদেশিক শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ ৫ চিকিৎসকের একটি দল ইদুলের ঘাড় থেকে অপারেশনের মাধ্যমে ওই মাছের সরু অংশ সরিয়ে নেন এবং ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দেন।
অপারেশনের পাঁচদিন পর ইদুল বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে জানান, তিনি আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তার মাছ ধরার আগ্রহের বিষয়ে ভাটা পড়বে না।
তিনি বলেন, “পরবর্তী সময়ে মাছ ধরার সময় আমাকে সচেতন থাকতে হবে। নিডলফিস একদমই আলো সহ্য করতে পারে না। সেকারণেই এটি আমার ঘাড়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।”