পাকিস্তানে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মরিচ-কুমড়ো চাষ!
পাকিস্তানে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার কথা সবারই জানা। বহু বছর থেকেই ক্রিকেটের উর্বর ভূমি মনে করা হয় দেশটিকে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট টিমের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন ঘরের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি পাকিস্তানিরা। যদিও এখন পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, ছোটবড় কিছু ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র লাহোর ও করাচিতে। এর আগে মুলতান ও ফয়সালাবাদেও বিভিন্ন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটপাগল জাতি হওয়া সত্ত্বেও; ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের তুলনায় পাকিস্তানে স্টেডিয়ামের সংখ্যা খুবই কম। আর এবার যা দেখা গেলো, তা আরও একবার খবরের শিরোনাম করেছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খানেওয়াল ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছে শাক-সবজির ক্ষেতে!
এআরওয়াই নিউজ সূত্র জানায়, ক্রিকেটারদের খেলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে লাখ লাখ রূপি ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল খানেওয়াল স্টেডিয়াম। উন্নত সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। স্টেডিয়ামে একটি ভালো প্র্যাকটিস এরিয়া, প্যাভিলিয়ন ও খেলার মাঠ থাকলেও, নেই কোনো ব্যাট-বলের যুদ্ধ কিংবা দর্শকদের চিৎকার। বরং কৃষকদের আবাদী জমিতে পরিণত হয়েছে এটি। যে মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন লাউ-কুমড়ো-মরিচ থেকে হরেক রকমের সবজি চাষ হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিনের বিরতি ও নানা গাফিলতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই খানেওয়াল স্টেডিয়ামের এই বেহাল দশা। দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একজন সাবেক ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও, দেশীয় ক্রিকেটের এই অবস্থা পাকিস্তানিদের হতাশ করারই কথা!
- সূত্র: ক্রিকট্র্যাকার