তিন মাস পর জানলেন, তিনি কুকুর নয় শেয়াল পুষতেন
আদরের পোষা কুকুর 'রান রান' কে নিয়ে বেশ আনন্দেই কাটছিল দিন। কিন্তু শীঘ্রই তিন মাস বয়সী হাস্কি জাতের কুকুরটি নিয়ে প্রতিবেশিদের নানা অভিযোগ আসতে লাগল।
রান রান প্রতিবেশিদের হাঁসমুরগি তাড়া করতো এবং ধরে ধরে খেয়ে ফেলতো। বাধ্য হয়ে কুকুরটির মালিক মারিবেল সোতেলো ডাকলেন ফরেস্ট এ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের লোকজনকে।
তারাই জানালো, কুকুর নয়, সোতেলোর পরিবার এতোদিন যাবত পুষছিল আন্দিয়ান প্রজাতির একটি শেয়ালকে!
ঘটনাটি ঘটেছে পেরুর কোমাস শহরে।
মারিবেল সোতেলো বলেন, "আমার ছেলে একটি পোষা প্রাণি চাইছিল, তাই সে বাজার থেকে রান রান-কে কিনে আনে। প্রাণিটিকে যখন বাসায় আনা হয়, তখন দেখতে কুকুরের মতোই ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে লক্ষ্য করলাম তার আচরণ অনেক ভিন্ন। তিন মাসের ওপরে সে আমাদের কাছে ছিল। তাকে আনতে আমার ছেলের খরচ পড়ে ১২ ডলারের ওপর।"
বাড়িতে আনার পর দেখা যায়, রান রান আহত। প্রায় এক সপ্তাহের মতো সেবা-শুশ্রূষা করে তাকে অনেকটা সুস্থ করে তোলা হয়। সুস্থ হবার পড়ে রান রান কুকুরের মতোই আচরণ করতে থাকে, সে খেলতোও অন্যান্য কুকুরের সঙ্গেই। কিন্তু কয়েকদিন না যেতেই সে প্রতিবেশিদের গিনিপিগ, মুরগি আর হাঁস তাড়া করতে লাগল। ফলে চারপাশ থেকে প্রতিবেশিদের অভিযোগ আসা শুরু করলো।
তিনি বলেন, "রান রান আক্রমণাত্মক নয়, সে আমাদের কাউকেই আক্রমণ করে না। কিন্তু প্রাণিটির জন্য আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, কেননা সে প্রতিবেশিদের যা কিছু খেয়ে ফেলছে, আমাদেরকে তার জরিমানা গুনতে হচ্ছে।"
সোতেলো জানিয়েছেন, তিনি আর এই ছদ্মবেশী শেয়ালটি পুষবেন না। ফরেস্ট এ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিসের কাছে প্রাণিটিকে সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
পেরুর গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শেয়াল হিসেবে হাঁস, মুরগি এবং গিনিপিগের প্রতি রান রানের আসক্তি সহজাত। এখন শেয়ালটিকে আবারও তার প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তবে কুকুর ভেবে বন্য প্রাণি পোষার ঘটনা কিন্তু এবারই প্রথম নয়। আগেও একটি পরিবার কুকুর হিসেবে একটি ভালুককে লালন-পালন করেছিলো!
- সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল