ইউনিভার্সাল এমিটির ‘ফুড ফর গুড’ প্রকল্পের ২ বছর

করোনার মহামারির আঘাতে বিপর্যস্ত ছিন্নমূল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২০২০ সালের ৭ জুন থেকে ইউনিভার্সাল এমিটি 'ফুড ফর গুড' নামক খাদ্য সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে। এর আওতায় ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অনাহারী, দুস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয় ইউনিভার্সাল এমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
সোমবার (৬ জুন) ইউনিভার্সাল এমিটির ফুড ফর গুড উদ্যোগটি ৭৩০তম দিনে, ২ বছরে পা রেখেছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ৯ টায় মিরপুর-১ এর মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের পেছন থেকে খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ইউনিভার্সাল এমিটি ৭৩০ দিনের খাবার পরিবেশনের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
সাধারণ মানুষের অর্থায়নে সংগঠনটি এ প্রকল্প চালাচ্ছে। ঝড়, বৃষ্টি সব উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিদিন শতাধিক অনাহারির মুখে খাবার তুলে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দেওয়াই এই সংগঠনের কর্মীদের অনুপ্রেরণার মূল চালিকা শক্তি।
সংগঠনটির নেওয়া খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে আরও একটি প্রকল্প "ফিড এ হাংরি চাইল্ড'। যেখানে প্রতি রাতে ঢাকার মিরপুরের অসহায় ছিন্নমূল শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
সংগঠনটি তাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে নিজেদের মাসিক চাঁদা ও সহৃদয় মানুষের দেওয়া অনুদান দিয়ে। সংগঠনটি সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে ৩০ টাকা অনুদান দিতে, কারণ ৩০ টাকায় একজন অভুক্ত মানুষের রাতের খাবার হয়। ১০০ টাকায় ৩ জন ক্ষুধার্ত শিশুর খবার হয়। অর্থ সংগ্রহ থেকে, বাজার করা, রান্না করা এবং সবশেষে বিতরণ সব কাজ করছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকরা। এ কারণে তাদের পক্ষে স্বল্প মূল্যে এই সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান জানান, "আর্থিক অবস্থার উপর মানুষকে মূল্যায়ন করে ফেলি, ট্যাগও দিয়ে দেই। এইসব ছিন্নমূল মানুষগুলো, তবুও প্রতিবাদ করে না, বরঞ্চ স্বপ্ন দেখে ঘুরে দাঁড়ানোর। আমরা তাদের সে যুদ্ধে শরিক হতে চাই আজন্ম। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি । তিনি আরও বলেন পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য কাজ করুক সবাই। আমরা শুধু একটি মাধ্যম তৈরি করতে চেয়েছি।"