শেষ হলো ‘কুইজ চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতা
'সাধারণ জ্ঞান নিজে জানো, দেশকে জানাও'—এই স্লোগান সামনে রেখে শুরু হওয়া ইএমকে সেন্টার নিবেদিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা 'কুইজ চ্যালেঞ্জ' সুসম্পন্ন হয়েছে। মূলত সাধারণ জ্ঞানের চর্চাকে উৎসাহিত করতেই এই আয়োজন করা হয়েছিল।
আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নলেজ পার্টনার বিজনেস কেস রিসার্চ কাউন্সিল (বিসিআরসি), কনটেন্ট পার্টনার চলতি ঘটনা ম্যাগাজিন, ট্রাভেল পার্টনার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ পার্টনার রয়েল কুইজিন। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে স্কিলএইড বাংলাদেশ।
'কুইজ চ্যালেঞ্জ' প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে আকরাম উল্লাহ, মো. খাইরুল কবির খান ও মাহবুবা মঞ্জুর মীম।
সম্প্রতি আয়োজিত প্রতিযোগিতাটির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলমগীর, প্রতিযোগিতার বিচারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক, অপর বিচারক এটুআই -এর পরামর্শক জীশান কিংশুক হক, আয়োজনটির মান পর্যালোচনাকারী এবি ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহক অভিজ্ঞতা ব্যবস্থাপক অমৃতা সাহা, স্কিলএইড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাসুদ এবং আয়োজনটির সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্যরা। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দীন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আলমগীর শুরুতেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। এছাড়াও, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগী, বিচারক, মান পর্যালোচনাকারী, পার্টনারসহ আয়োজক সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিঁনি জ্ঞান চর্চার জন্য এমন প্রয়োজনীয় আয়োজনের প্রশংসা করেন। তিঁনি তরুণদের সফট স্কিল চর্চার উপর জোর দিতেও পরামর্শ দেন এবং অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের ল্যাপটপ কম্পিউটার, এয়ার টিকিট, বই, চলতি ঘটনা ম্যাগাজিন, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট উপহার দেওয়া হয়।
রিদওয়ানুল হক বলেন, সকলেই জ্ঞানের চর্চা করা উচিত। এই আয়োজনটিতে বিচারক হিসেবে যুক্ত থেকে তিনি সবার মধ্যে শিখতে পারার আনন্দ দেখতে পেরেছেন। তাই তিনি এমন শিক্ষামূলক আয়োজন আরও বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন।
জীশান কিংশুক হক তাঁর বক্তব্যে ছোটবেলায় বিশ্বকোষ থেকে নানা বিষয় শেখার কথা স্মৃতিচারণ করেন। তিনি মনে করেন এখনও অনেক কিছু জানার বাকি আছে, তাই নিয়মিত সাধারণ জ্ঞানের চর্চা করা উচিত। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের মধ্যে তিনি নতুন কিছু শেখার আগ্রহ লক্ষ্য করেন। তিনি বলেন সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পাওয়া যায়। প্রতিযোগিতায় হারজিত বড় বিষয় নয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন কিছু শেখাই বড় ব্যাপার।
রাফিউদ্দীন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে পাঠ্য বই পড়ার বাইরেও তরুণদের বিভিন্ন জ্ঞানার্জনের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং তা ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগের গুরুত্ব আরোপ করেন।
অমৃতা সাহা বলেন, এই আয়োজনে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গা থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছেন এই ব্যাপারটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি প্রতিযোগিতার বিভিন্ন মান নিয়ন্ত্রণের ধাপগুলো উল্লেখ করেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে নতুন কিছু জানার ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার আগ্রহ তাঁর ভালো লেগেছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করার জন্য তিনি আয়োজনকদের আহ্বান জানান।
মো. মাসুদ তার বক্তব্যে পুরো আয়োজনটির নানা বিষয় উপস্থাপন করেন এবং আয়োজনটির সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।