বইমেলায় এলো ‘বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কর্মসহায়ক গবেষণা’
প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রের শ্রেণিকক্ষভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা সমাধানকল্পে ও শিক্ষকদের কাছে কর্মসহায়ক গবেষণার ধারণা স্পষ্ট করার প্রয়াসে 'বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কর্মসহায়ক গবেষণা' নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে এবারের বইমেলায়।
শিক্ষা গবেষণা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও রাবেয়া খাতুনের লেখা বইটি মেলায় নিয়ে এসেছে আদর্শ প্রকাশনী।
বইটির মোড়ক উন্মোচনের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বইটিতে সহজ ভাষায় বাস্তব উদাহরণসহ কর্মসহায়ক গবেষণার বিভিন্ন বিষয় সফলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায়, গবেষণা করার ক্ষেত্রে বইটি শিক্ষক ও নবীন গবেষকদের সাহস জোগাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "আমরা প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হই এবং সমাধানও করি। কিন্তু এসব সমস্যা কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সমাধান করা হয় না; বিশেষ করে যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন, তারা প্রতিনিয়তই পাঠদান প্রক্রিয়া, শিশুদের শিখন পদ্ধতি, মূল্যায়নব্যবস্থা কিংবা আরও নানান বিষয় নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হন। তবে শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে সমস্যাগুলো উতরে যান। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমেই তাদের পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। আর এই সুযোগ করে দিচ্ছে কর্মসহায়ক গবেষণা বা অ্যাকশন রিসার্চ।"
সেখানে আরও বলা হয়, "যারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত মূলত তাদের জন্য এই বই। এছাড়াও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এ প্রশিক্ষণরত প্রশিক্ষনার্থী ও প্রশিক্ষকগণের (ইন্সট্রাক্টর) জন্যও এ বইটি কর্মসহায়ক গবেষণা বা অ্যাকশন রিসার্চ পরিচালনায় সহায়তা করবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক থিসিস সম্পন্ন করতে এই বইটি বিশেষভাবে সাহায্য করবে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন এমন উন্নয়ন কর্মীরাও বইটি থেকে উপকৃত হবেন।"
বইটিতে সন্নিবেশিত তথ্যের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বইটিতে মোট ১০টি অধ্যায় রয়েছে। এখানে শুরুতেই পাঠকের জন্য গবেষণার প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে যা তাকে কর্মসহায়ক গবেষণা বা আকশন রিসার্চ বুঝতে সাহায্য করবে। এছাড়াও বইটিতে নমুনায়ন, গবেষণার সাহিত্য পর্যালোচনা, তথ্য সংগ্রহের কলা কৌশল, তথ্য বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন কৌশল এবং গবেষণার নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে এপিএ (৭ম সংস্করণ) পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্যসূত্র লেখার কৌশল উদাহরণসহ বর্ণনা করা হয়েছে। নতুন গবেষকদের জন্য পর্যাপ্ত উদাহরণ দিয়ে গবেষণার প্রস্তাবনা ও প্রতিবেদন লেখার কলা-কৌশল প্রয়োজনীয় উদাহরণ দিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।"
বইটি সম্পর্কে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহ আলম বলেন, "কর্মসহায়ক গবেষণার ধারণা এবং বিদ্যালয়ে এই গবেষণা সম্পন্ন করার কলাকৌশল নিয়ে বাংলা ভাষায় একটি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠপর্যায়ের শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের এখনো অনেক জিজ্ঞসা রয়েছে। এ বইটি তাদের সেসব অনেক জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে সহায়তা করবে"।